লাইফ স্টাইল
সুপার ন্যাচারাল সুগার যুক্ত মধুর মতো কিসমিস অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। ছোট থেকে বড় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার থেকে মুক্তির উপায় হলো কিসমিস। কিসমিস খাওয়া যায় অনেক ভাবে। শুকনো কিসমিসের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন। মূলত আঙ্গুর ফলের রঙের অনুযায়ী কিসমিসের রং হয় খেজুরের মত শুকনো একটি ফল কিসমিস।
আঙ্গুর কে রোদে শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা হয় বা মেশিনের মাধ্যমে পানি শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা হয়। রক্ত বর্ণের আঙ্গুর থেকে রক্ত বর্ণের কিসমিস এবং কালো আঙ্গুর থেকে কালো রঙের কিসমিস তৈরি হয়।
- রক্তচাপ স্বাভাবিক ও হৃদ যন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। কিসমিস খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থা।
- এতে বিদ্যমান থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার প্রদাহ প্রতিরোধকারী প্রধান উপাদান ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা রক্তে লিপিড ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
- এর মধ্যে থাকা কপার ভিটামিন বি জিংক ও আয়রন উপাদান গুলি মানবদেহে রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং রক্তে নতুন নতুন কোষ তৈরি করে ও রক্তস্বল্পতা রোগ দূর করে।
- কিসমিসে রয়েছে পলিফেনল ও কেটোসিন যুক্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মানব দেহের ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষগুলোকে ধ্বংস করে ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ভিটামিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে মানুষের ব্রেনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এতে থাকা বোরনের কারণে মানুষের শারীরিক স্নায়বিক দুর্বলতা কেটে ব্রেনের সুস্থ ও স্বাভাবিক কার্যক্রম বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- এতে ফাইবার থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করতে সাহায্য করে। অন্ত্র পরিষ্কার করে এবং মল ত্যাগ হয় স্বাভাবিকভাবে।
- কিসমিস অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালরি আছে বিএমআই যুক্ত স্বাভাবিক ওজন যাদের নাই কিসমিস খেলে ওজন বাড়তে থাকে খুব স্বাভাবিকভাবে।
- অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা হাড় ও দাঁতের সুস্থতায় কাজ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম থাকার কারণে হাড়ের ক্ষয় রোধ রোগ প্রতিরোধ করে।
- ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ইনসুলিনের অসামঞ্জস্যতা দূর করতে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে কিসমিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন পালন ক।
- সর্দি জ্বর ও কাশি হলে বা দেহের কোথাও ক্ষত হলে খুব দ্রুত খুব দ্রুত সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে কিসমিস। এতে প্রদাহের মোকাবেলা করার উপাদান আছে।
- কিসমিসের অবদান মানবদেহে শক্তি যোগাতে অনেক বেশি।
- এতে আছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান রক্তশূন্যতা দূর করতে সহায়তা করে। এবং শারীরিক দুর্বলতা ও মানসিক বিষন্নতা দূর করে।
- কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এটি অন্ধত্ব প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কিসমিস খেলে মানুষের শরীরে বয়সের ভার বোঝা যায় না এবং চোখে ছানি পড়া ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া থেকে রক্ষা করে।
- মানবদেহে রক্তের মধ্যে অতিরিক্ত এসিডিটি টক্সিটিটি (বিষ উপাদান) থাকলে চর্মরোগ হৃদরোগ বাত ও ক্যান্সার হতে পারে। কিসমিস খাওয়ার ফলে রক্ত অতিরিক্ত অ্যাসিডিটির মাত্রা কমে যায়।
- এর মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও আন্টিইনফেম্টরি এবং পলিফেনালস উপাদান যা শরীরে ঘা ও ক্ষতোর মতো ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
অপকারিতা
- অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে হজমশক্তিতে বিঘ্ন ঘটবে এজন্য পরিমাণের চেয়ে বেশি কিসমিস খাওয়া ঠিক ।
- এলার্জিযুক্ত রোগীরা কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এতে এলার্জি বেড়ে যেতে পারে।
- ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা অনেক বেশি পরিমাণে কিসমিস খাবেন না ডায়াবেটিস এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পা।
- স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন মানুষদের খুব বেশি পরিমাণে কিসমিস খাওয়া ঠিক না। এটি বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে।
- খুব বেশি পরিমাণে কিসমিস খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
- এতে অনেক বেশি পরিমাণ ক্যালোরি থাকে যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ ও কার্ডিওভাসকুলার রোগের সৃষ্টি করে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি থাকে এজন্য কিসমিস খাওয়ার পর দাঁত ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে দাঁতে পোকা লাগতে পারে এবং দাঁতের গহবর সমস্যার সৃষ্টি হতে পা।
- এতে আছে উচ্চ শর্করা আর উচ্চ শর্করা শরীরে প্রবেশ করলে শরীরে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে এটি খেলে গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টটাইনাল সমস্যার সৃষ্টি হয়ে পেট ফাঁপা পেট ব্যাথা ও পেটে গ্যাস ইত্যাদি রোগ হতে পা।
- এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম অক্সালেট আমাদের শরীরে কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে।
- যেসব ব্যক্তিদের কিডনি জনিত সমস্যা আছে তাদেরকে কিসমিস বর্জন করতে হবে কেননা কিসমিসে আছে পটাশিয়াম। আর পটাশিয়াম বেড়ে গেলে কিডনির অনেক ক্ষতি হ।
- এর মধ্যে থাকা ফাইবার অনেক মানুষের জন্য উপকারি হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার গ্রহণের ফলে কিছু কিছু মানুষের বদহজম অস্বস্তি হতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url